১. X-Ray কি?
উচ্চ গতিসম্পন্ন ইলেকট্রন ধাতব পাতে আঘাত করার ফলে তাপ উৎপন্ন হয় এবং এর ফলে কিছু পরিমান শক্তি বিকিরিত হয়।এই বিকিরিত রশ্মিই হলো x-ray
২.এক্স-রে মেশিনের কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা কর
এক্স-রে হলো এক ধরনের অদৃশ্য তাড়িত চৌম্বক বিকিরণ। এর সাহায্যে প্রাপ্ত ফটোগ্রাফ দ্বারা শরীরের কোন ভাঙ্গা হাড়, ক্ষত বা অবাঞ্চিত বস্তুর উপস্থিতি বোঝা যায়।নিম্নে এর কার্যপ্রণালী ব্যাখ্যা করা হলোঃ-
এক্স-রে মেশিনে টাংস্টেন কুন্ডলির মাঝে উচ্চ বিভবশক্তির তড়িত চালনার ফলে কুন্ডলি গরম হয়ে ইলেকট্রন নির্গত হয়।এই ইলেকট্রনের প্রবাহ একটি চোঙ্গ দ্বারা নির্দিষ্ট দিকে চালনা করা হয়।চোঙ্গের অপর প্রান্তে একটি ধাতব পাত(টাংস্টেন বা মলিবডেনাম) থাকে।এই উচ্চগতি সম্পন্ন ইলেকট্রন ধাতব পাতে আঘাত করার ফলে তাপ উৎপন্ন হয় এবং কিছু পরিমান পরিমান শক্তি বিকিরিত হয়।এই বিকিরিত শক্তিই x-ray।
x-ray নরম অধাতব বস্তু ভেদ করে চলে যেতে পারে।কিন্তু ধাতব বস্তু এটি শোষণ করে। আমরা জানি হাড়ের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো ক্যালসিয়াম।এটি x-rayকে অনেকাংশে শোষন করে। তাই হাড়ের ক্ষয় হলে বা ভেঙে গেলে x-ray মাধ্যমে শনাক্ত করা সহজ হয়।
৩। কি কি কাজে এক্স-রে ব্যবহার করা হয়
১. হাড় ভেঙে যাওয়া, হাড়ে ফাটল ও হাড় স্থানচ্যুত জনিত সমস্যা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে x-ray বিকল্প নেই।
২. দাতের ক্যাভিটি ও দাতের কোন ক্ষয় রোধজনিত সমস্যা চিহ্নিতকরনে x-ray করা হয়।
৩. অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা নির্ণয়ে পেটের x-ray করা হয়।
৪. পিত্তথলি ও কিডনি পাথরের অস্তিত্ব চিহ্নিত করার জন্য x-ray করা হয়।
৪। x-ray করার ঝুঁকিগুলো কি কি? এসব ঝুঁকি কিভাবে মোকাবেলা করা যায়?